সাধু ও চলিত ভাষার মূল পার্থক্য কোন পদে দেখা যায়?
এটি একটি বাংলা বহু নির্বাচনী প্রশ্ন যা বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য।
সঠিক উত্তর
সর্বনাম ও ক্রিয়া
এম সি কিউ প্রশ্ন
বিষয়ভিত্তিক সাপ্তাহিক মডেল টেস্ট - বাংলা
মডেল টেস্ট দিন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
লগইন করে মডেল টেস্ট শুরু করুনব্যাখ্যা
• সাধু ও চলিত ভাষার প্রধান পার্থক্য হলো ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের ভিন্নতায়।
- সাধুভাষায় পূর্ণ রূপ ব্যবহৃত হয় আর চলিত ভাষায় সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়।
- সাধু ভাষা তৎসম শব্দ বেশি আর চলিত ভাষায় অতৎসম শব্দ বেশি।
---------------------
• চলিত রীতি:
- চলিত রীতি পরিবর্তনশীল অর্থাৎ সময়ের প্রবাহের কারনে চলিত রীতি পরিবর্তিত রূপ লাভ করে।
- এই রীতি তদ্ভব শব্দবহুল। এছাড়াও এতে দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রাধান্য রয়েছে।
- চলিতরীতির লৈখিক ও মৌখিক দুটি রূপই বিদ্যমান।
- এই রীতি সহজবোধ্য, সংক্ষিপ্ত। বকৃতা, সংলাপ ও আলাপ-আলোচনার জন্য উপযোগী।
• সাধু ভাষা/রীতি:
- দাপ্তরিক কাজ, সাহিত্য রচনা, যোগাযোগ ও জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনে লেখ্য বাংলা ভাষায় সাধু রীতির জন্ম হয়।
- উনিশ শতকের শুরুর দিকে সাধু রীতির বিকাশ ঘটে।
- সাধু রীতিতে ক্রিয়াপদ দীর্ঘতর হয়ে থাকে।
- সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।
- চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে।
- সুতরাং, এই দুটি পদের ভিন্নতার জন্যই সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।
- সাধু রীতির বহু সর্বনামে 'হ'-বর্ণ যুক্ত থাকে, যেমন- তাহারা, ইহাদের, যাহা, তাহা, উহা, কেহ ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (সংস্করণ- ২০২১) এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
প্রশ্ন পরিসংখ্যান
পাবলিক পরীক্ষার অন্তর্ভুক্তি
এই প্রশ্নটি আমাদের বিস্তৃত আর্কাইভের মধ্যে 0 পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
প্রথম উত্তরদাতা হন!
আমাদের প্ল্যাটফর্মে এখনও কেউ এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। আপনি প্রথম হতে পারেন!